Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


অপারেশন থিয়েটারের ১০ যন্ত্র গায়েব

Main Image

একেকটি যন্ত্রের দাম ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা


মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ১০টি ডায়াথার্মি যন্ত্র সরবরাহ করা হয়। একেকটি যন্ত্রের দাম ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। সিজারসহ যেকোনো রোগীর অস্ত্রোপচারের পর ক্ষতস্থানে এ যন্ত্র দিয়ে ছ্যাঁক দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

ওই বছরের ২৯ নভেম্বর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট যন্ত্র সরবরাহকারী ঠিকাদার যন্ত্রগুলো স্থাপন করে। যন্ত্রগুলো স্থাপন শেষে সনদপত্রে অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ হিসেবে সিনিয়র স্টাফ নার্স জান্নাত আরা আক্তার ওরফে শিমুলের স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

সম্প্রতি সম্পদ ব্যবস্থাপনার অনলাইন এন্ট্রির জন্য পরিদর্শনকালে অপারেশন থিয়েটারে ওই যন্ত্রগুলো পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি অপারেশন থিয়েটারের ইনচার্জ জান্নাত আরা আক্তার ওরফে শিমুলকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।

জান্নাত বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক। নোটিশে ওই ১০টি যন্ত্র এখন কোথায়, কী অবস্থায় আছে, তার সুস্পষ্ট জবাব চাওয়া হয়।

নোটিশের অনুলিপি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অধিদপ্তরের (সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট) লাইন ডিরেক্টর, অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) পরিচালক ও পরিচালক (স্বাস্থ্য) ঢাকা বিভাগকে পাঠানো হয়।

জান্নাত শিমুল ৪ ফেব্রুয়ারি নোটিশের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। তার দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে অন্যরা জড়িত থাকতে পারেন।

১০টি যন্ত্র চুরির ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রধান হলেন সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট জাহাঙ্গীর মো. সারোয়ার। সদস্য সচিব হলেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) কাজী এ কে এম রাসেল। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, আমাকে তদন্ত কমিটির সভাপতি করার বিষয়টি লোকমুখে জেনেছি। তবে এখনো হাতে চিঠি পাইনি।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। এ ব্যাপারে বলার মতো কোনো উন্নতি হয়নি।

এর আগে গত বছর ৬ অক্টোরর জান্নাতের বিরুদ্ধে অনিয়মের উল্লেখ করে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তারই সহকর্মীরা। এ ব্যাপারে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর থেকে তদন্ত কমিটিও করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন