Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


কুষ্ঠ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে ৯ জেলা

Main Image

মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকাসহ ছয় জেলা


দেশে ২০২২ সালে কুষ্ঠ রোগী কিছুটা বেড়েছে। উত্তরের সাতটিসহ ৯ জেলা সংক্রামক এ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথম পর্যায়ে শনাক্ত ও সুচিকিৎসা পেলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। অথচ অবহেলা বা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় এ রোগে আক্রান্তের ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০২২ সালে দেশে ২ হাজার ৯৭৪ জনের কুষ্ঠ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২০০ জন প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়েছেন। ২০২১ সালে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৭২। তাদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার হন ১৬৫ জন।

কুষ্ঠ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- মৌলভীবাজার, মেহেরপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, ও জয়পুরহাট। এসব জেলায় প্রতি লাখে পাঁচজন বা তার বেশি মানুষ কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ঢাকাসহ ছয় জেলা। আর নিম্ন ঝুঁকিতে আছে আরও ৩৪টি জেলা।

রবিবার দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস। কুষ্ঠ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ দিবস পালন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘এখনই কাজ শুরু করি, কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করি’। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি নিয়েছে।

কোনো দেশে কুষ্ঠ রোগীর সংখ্যা প্রতি ১০ হাজারে একজনের নিচে নেমে এলে দেশটিকে ‘কুষ্ঠ রোগমুক্ত’ ঘোষণা করা যায়। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ‘কুষ্ঠ রোগমুক্ত’ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

জাতীয় কুষ্ঠ রোগ নির্মূল কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও উপপরিচালক ডা. ইউনূস আলী বলেন, কুষ্ঠ রোগ নিয়ে সমাজে এখনও বিভিন্ন কুসংস্কার রয়েছে। এ কারণে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেলেও মানসিক ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার হওয়ার ভয়ে রোগীরা প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে আসেন না। দেশের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কুষ্ঠ রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার।

আরও পড়ুন