Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


আফ্রিকার দেশ মালাউইতে কলেরায় মৃত্যুর রেকর্ড

Main Image

ইতিহাসের ভয়াবহ কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ মালাউইতে


ইতিহাসের ভয়াবহ কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ মালাউইতে। ইতোমধ্যে দেশটিতে কলেরায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ হাজার ৬২১ জনে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মালাউইর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালাউইর গত ২০ বছরের ইতিহাসে এটি কলেরায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে ২০০২ সালের মার্চ পর্যন্ত মালাউইতে কলেরায় ৯৬৮ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করা হয়। 

পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো মালাউইতেও প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত কলেরার প্রাদুর্ভাব থাকে। এ সময় গড়ে ১০০ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে কলেরা মৃত্যুর মিছিল নিয়ে শঙ্কায় দেশটির সরকার। সাম্প্রতিক এসব মৃত্যুর অধিকাংশই ঘটেছে মালাউইর দুই প্রধান শহর লিলংউই ও ব্লানতায়ারেতে।

কলেরা প্রতিরোধে ২০২২ সালে জাতিসংঘ থেকে প্রায় ৩০ লাখ ডোজ কলেরার টিকা নিয়েছে মালাউেই। ইতোমধ্যে সেসব টিকা জনগণকে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় জাতিসংঘের দেয়া টিকা সহায়তা অপ্রতুল ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদ্রিয়ান চিকুম্বে এএফপিকে বলেন, কলেরার যাবতীয় টিকা কেবল জাতিসংঘের অনুমোদিত কোম্পানিগুলো উৎপাদন করে এবং টিকা বিতরণও করা হয় জাতিসংঘের মাধ্যমে। ফলে বেশিরভাগক্ষেত্রেই প্রয়োজন অনুযায়ী টিকার সরবরাহ পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি।  

মালাউইর বেসরকারি অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা মালাউই হেলথ ইকুইটি নেটওয়ার্কের পরিচালক জর্জ জোবে এএফপিকে বলেন, চলতি মৌসুমের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের অন্যতম কারণ—কলেরা সম্পর্কিত বিভিন্ন কুসংস্কার ও ভুয়া তথ্য প্রচার। জর্জ জোবে বলেন, বেশিরভাগ মানুষ এটা স্বীকার করতেই প্রস্তুত নয় যে দেশে কলেরা ছড়াচ্ছে। অনেক সম্প্রদায়ের লোকজন আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতেও আগ্রহী নন।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী খাম্বিজ শিপোন্ডা এএফপিকে বলেন, জনগণের অসচেতনতার জন্যেই ছড়াচ্ছে কলেরা। পান ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার আগে পানি জীবাণুমুক্ত গত তিন মাস ধরে সরকারিভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ওষুধও সহজলভ্য করা হয়েছে। সরকারি বার্তা যারা মেনেছেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হননি বলে দাবি তাঁর।

আরও পড়ুন