Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


হাইপারটেনশনে ভোগেন দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষ : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

Main Image

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সাব কমিটির উদ্যোগে ‘হাইপারটেনশন’ বিষয়ক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ


বাংলাদেশের এক চতুর্থাংশ মানুৃষ হাইপারটেনসিভ। হাইপারটেনশন যাতে না হয় সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।  

রোববার সকাল ৯ টায় (৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সাব কমিটির আয়োজনে ‘হাইপারটেনশন’ বিষয়ক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। 

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সেন্ট্রাল সেমিনারে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করে থাকি যা সবার জন্য প্রযোজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭টি বিভাগের সবারই হাইপারটেনশন বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হয়। কারণ ব্লাড প্রেসার বেশি থাকলে কোন ধরনের অপারেশন করা যায় না। যে রোগীকে ট্রিটমেন্ট দিয়ে যাচ্ছেন, সে রোগীকে কত পর্যন্ত ব্লাড প্রেসার রাখা লাগবে তা অবশ্যই চিকিৎসককে জানতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, যারা বয়স্ক তাদের অবশ্যই নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপতে হবে।যাদের বয়স তিন থেকে দশ বছর তাদের ব্লাড প্রেসার মাপতে হবে। যারা মোটা তাদের নিয়মিত প্রেসার চেক আপ করতে হবে। যারা সুগার খান তারা মাঝে মাঝে প্রেসার চেক আপ করতে হবে। কাঁচা লবণ খাওয়া ছেড়ে দিতে সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, ইউজিসি অধ্যাপক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সজলকৃষ্ণ ব্যানার্জী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী।

এতে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে কথা বলেন- হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তাফা জামান ও শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রনজিত কুমার রায়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির সদস্য সচিব নিউরোলজি বিভাগের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সবুজ ও রেসপেরিটোরি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম।

সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কনসালটেন্ট, চিকিৎসক ও রেসিডিন্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন