Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


বিএসএমএমইউয়ে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

Main Image

জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়


নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ-এর নেতৃত্বে সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বি ব্লকের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময়  বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিসপ্রধান, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। 

এরপর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে উপাচার্যের নেতৃত্বে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

সেখান থেকে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

এ সময় তিনি বলেন, সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্ভব।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। যে কারণে আজ আমরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বড় বড় কর্মকর্তা হতে পারছি। দেশ স্বাধীন না হলে আজও আমাদেরকে পাকিস্তানের গোলামী করতে হতো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। তবে আমরা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যাতে দেশের কোন রোগীকে চিকিৎসার জন্য বাইরের দেশে যেতে না হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ৬০ বছরের নিচে যেকোনো সুস্থ মানুষ বছরে ৩ বার রক্ত দিতে পারেন। এতে করে অনেক মানুষের জীবন বেঁচে যাবে। রক্তদানের মাধ্যমে পরকালেরও পুণ্য অর্জন করা সম্ভব। তাছাড়া রক্তদানের সময়ে কয়েকটি রোগ, ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য রক্তদাতার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হয়। এর ফলে ঐসকল রোগ রক্তদাতার রয়েছে কিনা তা জানা সম্ভব হয়। আমি দেশবাসীকে বছরে কমপক্ষে ১ বার রক্তদান করে মানুষের জীবন বাঁচানোর অনুরোধ করছি।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে বর্তমান ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের শুভ উদ্বোধন করেছিলেন। তিনি রক্ত নিয়ে গবেষণার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রক্তসহ চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই আয়োজনের নানা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, সার্জারি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. সুরাইয়া বেগম, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, হল প্রভোস্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আসাদুল ইসলাম প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা। 

এছাড়াও ক্যাম্পাসে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টিএসসিতে আম, জামরুল, তেজপাতা, জলপাইসহ ফলজ ও ভেষজ চারা রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় এ ব্লকের ৭ম তলায় রোজী জামাল মহিলা হোস্টেলের ছাদ পুননির্মাণ ও সংস্কারোত্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। হোস্টেলের উদ্বোধনের পর সেখানে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ডক্টরস হল জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আইয়ুব আলী।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন