Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


নতুন গাইডলাইনে ডেঙ্গু কমার আশা মন্ত্রীর

Main Image

দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমালোচনা হয়নি


সময়ের প্রয়োজনে ডেঙ্গুর আগের গাইডলাইন নতুন করে সাজানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিতেএক অনুষ্ঠানে ডেঙ্গুর নতুন গাইডলাইন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন গাইডলাইনে আশা করি ডেঙ্গু কমে আসবে। শীতও চলে এসেছে। সব ডাক্তার-নার্স ও টেকনিশিয়ানরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নানা সমালোচনা হলেও চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমালোচনা হয়নি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু চিকিৎসা করে; নিয়ন্ত্রণের কাজ করে অন্যান্য মন্ত্রণালয়।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রথমে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পেয়েছিলাম। সবাই মিলেই সুন্দরভাবে মোকাবেলা করেছি। তখনও অনেক সমালোচনা হয়েছে। তখনও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমালোচনা থাকলে চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমালোচনা ছিল না। এরপর কভিড শুরু হলে একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল করে আমরা সারা দেশেই এটিকে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রটোকল ভালো ভূমিকা রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না, প্ল্যান্ট ছিল না। একটি মাত্র ল্যাব ছিল। বিনামূল্যে আমরা রেমডিসিভির দিয়েছি। যখন যেই ব্যবস্থা বিশ্বে প্রয়োগ হয়েছে, আমরা সেটি করেছি এবং সর্বোপরি সফল হয়েছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় আমাদের ২৯ হাজার মানুষ মারা গেছে, ভারতে ৫ লাখ, আমেরিকায় ১২ লাখ। ইউরোপে প্রতি ১০ লাখে ৩ হাজার লোক মারা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইডলাইন দিয়েছেন বলেই আমরা সফল হয়েছি। এমনকি করোনার টিকাদানেও সফল হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন আবার ডেঙ্গু দেখা দিয়েছে। যারা কাজকর্ম করে, তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছে। ২০-৩০ বছরের মধ্যে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনদিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে দেরিতে যাওয়ায় মৃত্যু বেশি বেশি হচ্ছে। নতুন গাইডলাইনে আশা করছি, ডেঙ্গু কমে আসবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু যে আমাদের দেশেই ডেঙ্গু হচ্ছে তা নয়, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই দেখা দিয়েছে। আমাদের থেকে তাদের বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসার মান বৃদ্ধির জন্য সারা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমরা চিকিৎসকদের উপস্থিতি চাই, চাই সচল যন্ত্রপাতি। অনেক সময় আল্ট্রা-ইকো মেশিন নষ্ট থাকে, রোগীরা বাইরে চলে যান। যাদের এসব যন্ত্র নেই, চাহিদ দিবেন, আমরা কিনে দেব।’

আরও পড়ুন