Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


বিশ্বের ৩৫ কোটি মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে

Main Image

করোনা মহামারী শুরুর আগে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৩ কোটি


করোনা মহামারী, সংঘর্ষ ও জলবায়ু পরিবর্তনে ২০১৯ সালের পর বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে সাড়ে ৩৪ কোটি দাঁড়িয়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা-সংক্রান্ত শাখা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক করিন ফ্লেশার বলেন, করোনা মহামারী শুরুর আগে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৩ কোটি। এরপর এ সংখ্যা বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের ফলে এ সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ু সংকটের ফলে আরও সংঘাত ও ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির ঘটনাও ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বের এই চাপ বহনের সামর্থ্য নেই। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের ফলে আমরা বিশ্বজুড়ে ১০ গুণের বেশি বাস্তুচ্যুতি দেখছি। জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘর্ষের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। আমরা তাই করোনা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইউক্রেন যুদ্ধের যৌথ প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।

মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চল খাদ্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে আসা খাদ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় তাদের।

ফ্লেশার বলেন, ইউক্রেন–সংকটের ব্যাপক প্রভাব মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় পড়তে দেখা গেছে। ইয়েমেন প্রয়োজনীয় খাদ্যের ৯০ শতাংশ আমদানি করে থাকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ আমদানি হয় কৃষ্ণসাগর দিয়ে।

ডব্লিউএফপির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের খাদ্যসহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু ডব্লিউএফপির পক্ষে কেবল ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে তারা যে সহায়তা দেয়, তাতে একজন মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার অর্ধেক পূরণ করা সম্ভব। এর পেছনে তহবিলের স্বল্পতার কথা বলেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।

করোনা মহামারীর পর জিনিসপত্রের দাম ৪৫ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দাতারাও বিশাল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইরাকের মতো তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে লাভবান হলেও খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে।

ফ্লেশার বলেন, ইরাকে বছরে ৫২ লাখ টন গম প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে মাত্র ২৩ লাখ টন উৎপন্ন হয়। বাকি গম আমদানি করতে তাদের ব্যাপক খরচ করতে হয়। রাষ্ট্রীয় সহায়তা থাকলেও খরা, পানিস্বল্পতার কারণে ইরাকজুড়ে ক্ষুদ্র কৃষকদের জীবিকা বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন