Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


সন্তুষ্টির শেষ নেই, স্বাস্থ্যের বরাদ্দ নিয়ে সবাই খুশি

Main Image

বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ


প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থা যেন আরও মজবুত হয়, সেটিতে জোর দেওয়া হয়েছে।

যদিও বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ টাকার অঙ্কে বাড়লেও মোট বরাদ্দের আনুপাতিক হার নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতের গতানুগতিক বরাদ্দে বেতনভাতা সামলে তেমন কোনো সংস্কারের সুযোগ আর থাকবে না।

শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মূল বাজেটের সাড়ে ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য গবেষণায় জোর দেওয়া হয়েছে। অসংক্রামক রোগের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। টিকা উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা যেন কাজ করতে পারি, সেটিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জন্য ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২০২২) এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। সে তুলনায় এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।

স্বাস্থ্যের বাজেট নিয়ে সন্তুষ্টের কথা জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এটি সত্য যে সন্তুষ্টির কোনো শেষ নেই। সন্তুষ্টি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমাদের বাজেট অন্তত সময়োপযোগী। এটি নিয়ে আমরা সকলেই মোটামুটি খুশি।

তিনি বলেন, আমি মনে করেছিলাম আমার কাছে কোনো প্রশ্ন আসবে না। কিন্তু শেষ পর্যায়ে এলো। আসলে একটি খাতের যখন সবকিছু ভালো থাকে তখন আর প্রশ্ন আসে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটের সবচেয়ে ভালো দিক হলো জনগুরুত্বপূর্ণ যেসব বিষয় আছে, সেগুলোতে কোনো ট্যাক্স বাড়ানো হয়নি। শিল্পায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। কাঁচামালের ট্যাক্স যেন কম হয়, শিল্পায়ন যেন ভালো হয়, কর্মসংস্থান যেন বৃদ্ধি পায়, সেই সুযোগ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্য শিক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা খুশি। কভিড নিয়ন্ত্রণে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। টিকার জন্য আমরা যখনই টাকা চেয়েছি, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের ছাড় করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন