Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


মহামারীতে কিশোরীদের ওজন বাড়তে দেওয়া যাবে না

Main Image

মহামারীতে কিশোরীদের ওজন বাড়তে দেওয়া যাবে না


কিশোরীরা বা অ্যাডোলেসেন্টরা হচ্ছে আমাদের সম্পদ। আমরা যদি এখানে ইনভেস্ট করি, তাহলে আমরা আগামী দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী কিশোরী পাবো। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এ সব কিশোরীরা উন্নয়নের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। তারা বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করবে। ডাক্তার হবে ইঞ্জিনিয়ার হবে; সব জায়গাতে তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী জনগোষ্ঠী হবে। তবে আমরা যদি আজকে তাদের পেছনে বিনিয়োগ করি।

পিতা-মাতার জন্য কথা হচ্ছে, কিশোরীদেরর দিকে খেয়াল করতে হবে। করোনার এই সময়ে আমরা দেখছি, স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক কিশোরীর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। যাদের বিয়ে হয়ে গেছে, তাদেরকে লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা আমাদের জরুরি। সে যাতে লেখাপড়া করে তার স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করতে পারে।

তারপরে কিশোরীদের বলবো, মাসিকের স্বাস্থ্যবিধিটা যদি ভালোভাবে পরিচালনা বা বজায় রাখতে পারে তাহলে প্রজনন স্বাস্থ্য তার সুরক্ষিত থাকবে। কোনক্রমেই স্থূল হয়ে পড়লে চলবে না। কারণ স্থূলতায় অনেক রকম জটিলতা আছে। ভবিষ্যতে প্রেসার বেড়ে যাবে, উচ্চ রক্তচাপ হবে, ডায়াবেটিস হবে এবং হার্ট ডিজিজ হবে। এজন্য এখন থেকেই কিশোরীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ওজন যেটা থাকা প্রয়োজন, সেটা রাখতে হবে। সেজন্য তার খাওয়া-দাওয়ার দিকেও খেয়াল করতে হবে। বেশি ফাস্টফুড খেলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বেড়ে যায়। কাজেই তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে পুষ্টিকর, সুষম খাবার খাবে। তারপর মুখ্য পুষ্টি যে সমস্ত খাবারে আছে সেগুলো বেশি বেশি খাবে।

এতে কিশোরীদের সমস্ত রকম উন্নতি ভালো হবে, ব্রেইনও ভালো হবে। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং তার এই যে মুটিয়ে যাওয়ার জটিলতাগুলো কমে যাবে। কিশোরীদের অনেক ভালো করে লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়া করে দেশ-জাতি গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে। এখানে তাকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে।

কিশোরীরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতন হলে, ভবিষ্যতে অনেক ভালো সম্ভাবনাময় জনসংখ্যা পাবো।

আরও পড়ুন