Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


দেশে দুই দশকে অন্ধত্ব কমেছে ৩৫ শতাংশ

Main Image

২০০০ সাল থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলায় এ জরিপ করা হয়েছে


বাংলাদেশে গত দুই দশকে ত্রিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমে এসেছে। তবে প্রতি ১০০ মানুষের মধ্যে ১৯ জনই দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যায় ভুগছেন।

দেশব্যাপী পরিচালিত ২০২০ সালের অন্ধত্ব জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে এই তথ্য। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।

২০০০ সাল থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলায় এ জরিপ করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৬০টি ক্লাস্টার থেকে। জরিপে অংশ নিয়েছেন ১৮ হাজার ৮১০ জন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ জরিপ পরিচালনা করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুর রহমান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিশ বছরে বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ অন্ধত্বের প্রধান কারণ চিকিৎসার অভাবে চোখে ছানি পড়া। এছাড়া ডায়াবেটিসজনিত রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা ও বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন অন্ধত্বের প্রধান কারণ।’

এর আগে ২০০০ সালেও অন্ধত্ব নিয়ে দেশে একটি জরিপ চালানো হয়েছিল। সে সময় সারা দেশে চোখের ছানিজনিত অন্ধত্বের শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার। বিশ বছর পর এবারের জরিপে সেই সংখ্যা ৫ লাখ ৩৪ হাজার জনে নেমে এসেছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার কমেছে এটা খুবই ভালো খবর। এই অর্জন এমনি এমনি আসেনি। এজন্য অনেক কাজ করতে হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বিরাট পাওয়া।’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন