Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে টিকাদানের পরিস্থিতি কেমন?

Main Image

দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশ নাগরিকদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টিকা পেয়েছে


দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গত দুই মাসে করোনা প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রমে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনো অনেক পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে সরবরাহ সংকটে ব্যাপকহারে টিকাদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ‘শিফটিং গিয়ার্স: ডিজিটাইজেশন অ্যান্ড সার্ভিস লেড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ দেশ তার নাগরিকদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টিকা পেয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। পাকিস্তানে এ হার ৩৯ দশমিক ৪, নেপাল ৬২ দশমিক ১ এবং শ্রীলঙ্কা ১৪৩ দশমিক ৯।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কা সরকারের ব্যাপকহারে টিকাদানের সক্ষমতা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ এখনো টিকাদানে বেশ পিছিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে সাতে রয়েছে বাংলাদেশ, যা আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকার তথ্য দিচ্ছে।

সেপ্টেম্বর শেষে মালদ্বীপ ও ভুটান তাদের মোট জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশকে টিকার দুটি ডোজ দিয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৪৫, পাকিস্তান ১৮, ভারত ২১ ও বাংলাদেশ ১৫ শতাংশ মানুষকে উভয় ডোজ টিকা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয়ার জন্য টিকার সরবরাহ বাড়িয়েছে। এ অঞ্চলে টিকাদানে বিশ্বব্যাংক ৯০০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। এরই অংশ হিসেবে কোভ্যাক্স থেকে মধ্য জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা ১৫ লাখ এবং চীনের সিনোফার্মের ২২ মিলিয়ন টিকা পেয়েছে। তবে সব নাগরিকদের টিকাদানে দেশগুলোকে আরও বহুদূর যেতে হবে, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা ছাড়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ্ব থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ভবিষ্যতে দেশটির অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে মূলত টিকা দেয়ার গতির ওপর।

বিশ্বব্যাংকের ইঙ্গিত, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার উচ্চ প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। সংস্থাটির ধারণা, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে (২০২২-২৩) আরও বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সরকার জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

আরও পড়ুন