Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ফ্লাইটে কোনো চিকিৎসক আছেন?

Main Image

ক্যাপ্টেন নওশাদ


মাস্কাট থেকে ঢাকাগামী বিজি-০২২ ফ্লাইটটি ছাড়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর কেবিন ক্রুর ঘোষনা, ‘প্রিয় ভদ্রমহিলা ও ভদ্র মহোদয়গণ, আপনাদের মধ্যে কেউ চিকিৎসক থাকলে নিকটবর্তী কেবিন ক্রু’র সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমি আবারও বলছি, আপনাদের মধ্যে যদি কোনো চিকিৎসক থাকেন তাহলে দ্রুত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’

এরপর কেবিন ক্রুরা প্লেনের করিডোর দিয়ে হেঁটে হেঁটে প্রতি সারির যাত্রীদের জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘আপনাদের মধ্যে কোনো চিকিৎসক আছেন কি? কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারেন কি?’

সেই ফ্লাইটের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই জানাচ্ছিলেন ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশি, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার আরিফুল ইসলাম। তিনি সেই ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করছিলেন। ককপিটের খুব কাছাকাছি থেকে বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ করেছেন আরিফুল।

পুরো ফ্লাইটের অভিজ্ঞতা নিয়ে আরিফুল বলেন, ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ২টা ৩০ মিনিটে (ওমানের স্থানীয় সময়) ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। পরে এটি ডিলে (সময় পরিবর্তন) হয়ে সাড়ে ৪টায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়। আমরা সাড়ে ৪টায় বিমানে উঠে যাই। তবে প্লেন ছাড়েনি। আমাদের প্লেনের ভেতরে রেখে বলা হলো, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট আরও ২ ঘণ্টা বিলম্বে রওনা হবে।

তিনি বলেন, সাড়ে ৬টার দিকে প্লেন ছাড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা ফ্লাইটটি আকাশে উড়ে। আকাশটা স্বচ্ছ ছিল। প্লেনটাও স্বাভাবিকভাবেই উড়ছিল। হঠাৎ ককপিট থেকে জানতে চাওয়া হয়, আমাদের মধ্যে কোনো ডাক্তার আছে কি না? কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারি কি না, কারও নার্সিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে কি না ইত্যাদি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, আমাদের মধ্যে কোনো যাত্রী হয়ত অসুস্থ।’

ফ্লাইটের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, যখন কেবিন ক্রুরা চিকিৎসকের খোঁজ করছিলেন তখনই বুঝতে পেরেছিলাম ফ্লাইটে কেউ অসুস্থ হয়েছে। তবে ক্যাপ্টেন যে নিজেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন, সেটি বুঝতে পারিনি। পাইলট বা কেবিন ক্রুরাও তা বুঝতে দেয়নি।

আরও পড়ুন