Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


বন্ধ সব ধরনের অফিস, খোলা গার্মেন্টস-ব্যাংক

Main Image

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে


সব ধরনের অফিস, দোকানপাট, যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ রেখে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তবে খোলা থাকবে পোশাক শিল্পকারখানা, ব্যাংক, হোটেল রেস্টুরেন্ট ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করবে সেনাবাহিনী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হলে নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

রিকশা ও পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের স্বল্প ও দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রেখে সোমবার থেকে চলছে সীমিত লকডাউন। আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে কার্যকর হবে কঠোর বিধিনিষেধ। নিষেধাজ্ঞার আওতায় কী কী থাকছে মঙ্গলবার রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর আজ বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বিধিনিষেধের এই সময়ে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত অফিস বন্ধ থাকবে। পুরো বন্ধ থাকবে শপিংমল ও মার্কেট। তবে খোলা থাকবে ব্যাংক ও পোশাক শিল্পকারখানা। ব্যাংকের সময়সূচি বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং শিল্পকারখানা চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।

জরুরি পরিষেবার আওতায় চলবে খাদ্য, ত্রাণ, স্বাস্থ্য ও নাগরিকসেবার সাথে যুক্ত যানবাহন। দেশব্যাপী চালু থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকায় ভ্রমণের টিকিট দেখিয়ে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।

নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা গেলেও সেখানে বসে খাওয়া যাবে না।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে যাওয়া যাবে কেন্দ্রে।

মাঠে থাকবে সেনা, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী। ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সেনা উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

আরও পড়ুন