Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ঢাকা ছাড়ছে নিরুপায় মানুষ, ফেরিঘাটে ভিড়

Main Image

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না


করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সারা দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ দিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সোমবার থেকে এ লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সরকারি এ ঘোষণা আসার পর থেকেই ঢাকা ছাড়ছে নিরুপায় মানুষ। আজ শনিবারও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। এরই প্রভাবে ভোর থেকে মানুষের ভিড় বেড়েছে দুই ফেরিঘাট— পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষ ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।

লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিতে করেই যাত্রীরা পার হচ্ছেন। তবে গণপরিবহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেকে।

গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা ছেড়ে যাবেন এমন মানুষের চাপ দেখা গেছে। এদের বেশিরভাগই নিম্নবিত্ত। লকডাউনের মধ্যে ঢাকায় কর্মহীন থেকে না খেয়ে থাকার চেয়ে তারা গ্রামে ফিরে কিছু একটা করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে এখন ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী ফেরিতে শুধু রোগী বহনকারী গাড়ি এবং জরুরি পণ্য পরিবহণের গাড়ি ছাড়া সবকিছু পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করেই ঘাটে ভিড় জমাচ্ছেন যাত্রীরা। ঘাটের দুই পাড়ে শতশত যান পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। রাজধানী ছাড়ার পাশাপাশি অনেকে ফিরছেন বলেও জানান তিনি।

করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন এবং গণমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

আরও পড়ুন