জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আমরা এক মিলিয়ন ভ্যাকসিন পাবো বলে আশা করেন মিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ডা. মাসুদ হাসান
যুক্তরাষ্ট্রের করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার তালিকায় ছিল না বাংলাদেশ। কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকরা নেতৃত্ব হোয়াইট হাউজে তৎপরতা চালিয়ে এ ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। কূটনৈতিক তৎপরতা যেখানে সফল হয়নি সেখানে প্রবাসীদের তৎপরতা সফল হয়েছে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী চিকিৎসক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ডা. মাসুদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কমলা হ্যারিসের কাছে যাই। সেখানে ভ্যাকসিন বণ্টন তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল না। সেখানে আমরা নাম অন্তর্ভুক্ত করি। আশা করছি, জুন মাসের শেষ সপ্তাহে আমরা এক মিলিয়ন ভ্যাকসিন পাবো। বাকি এক মিলিয়ন টিকা সরকার-সরকার চুক্তির মাধ্যমে পাওয়া যাবে বলে আশা করি।
করোনা মহামরির মধ্যে টিকা সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে অ্যাসট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছে না বাংলাদেশ। সরকারের হিসেবে ১৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার অপক্ষোয় আছে। এ ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে টিকা পাওয়ার ব্যপারে সম্মতি আদায় করেছে বাংলাদেশর কয়েকজন বিশিষ্ট ওই প্রবাসীরা।
রোববার জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন ওই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু দেশর তালিকা করেছে যেখানে সবচেয়ে বেশি লোক মারা যাচ্ছে। কিন্তু শুনতে পেলাম আমরা সেখানে নাই। আমরা অনুরোধ করেছি ১৫ লাখ লোক প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছিল কিন্তু টিকার সংকটের কারণে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেনি।
সাত দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তাকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম। এবং জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাত ফতিমা।
আরও পড়ুন