Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


৬ দিনের 'রেড জোনে' উখিয়া ক্যাম্পের ৪ ওয়ার্ড

Main Image

২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কঠোরভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে


কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতেও করোনা মহামারী থাবা দিলেও, তার পরিমাণ ছিলো কম।  কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনার সক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত ৪টি ওয়ার্ডকে ‘রেডজোন’ ঘোষনা করা হয়েছে।

২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডগুলো এই রেডজোনের আওতায় থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, পহেলা জুন রাত ১২ টা থেকে শুরু হওয়া রেড জোনের এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে ৬ জুন পর্যন্ত। এই সময়ে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান উপজেলা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

‘হঠাৎ উখিয়া ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকায় করোনার সক্রমণ বেড়ে যায। এ কারণে ২৩ মে থেকে উপজেলার জনবহুল এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ  করা হয়। এরপরও থামছে না করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ঊর্ধ্বমুখিতা।  তাই ‘লকডাউন ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ চলাকালীন কোভিড-১৯ বিষয়ক সরকারের সব বিধি-নিষেধ, সবার জন্য মানতে বাধ্য করা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন।

লকডাউনের নীতিমালায় বলা হয়, লকডাউনের সময় উখিয়া উপজেলায় বাইরে থেকে কোনো মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। আবার উখিয়া থেকেও কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। সীমান্ত ও উপজেলার সব স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতদিন বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করবে।

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে সরাসরি কোন বাস চলাচল করতেও পারবে না।  ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় দ্রবাদি ছাড়া কোনো দোকান খোলা রাখা যাবে না। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে জরুরি বিষয় ছাড়া সবকিছুর যাতায়াতও বন্ধ থাকবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্যমতে, ৩১ মে পর্যন্ত উখিয়ায় ২ হাজার ২শ’ ৬৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ১ হাজার ১৪ জন। আর বাকি ১ হাজার ২৫০ জন স্থানীয় নাগরিক।

 

আরও পড়ুন