Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ছোঁয়াচে নয়: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

Main Image

বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনদের সঙ্গে সভায় মিলিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এজন্য সচেতনতা জরুরি।

তিনি বলেন, এই রোগ বহু আগ থেকেই ছিল এবং এটা ছোঁয়াচে নয়। এটা এমন একটা জীবাণু বা ফাঙ্গাস যা সর্বত্র- মাটি, পানি ও বাতাসে ছড়িয়ে থাকলেও সংক্রমণ ক্ষমতা খুবই কম।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, এই ছত্রাক প্রাণীদের বিষ্ঠায়, বাসী খাবার, বাসী ফল, দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত খাদ্য সামগ্রী, অপরিস্কার মাস্ক, অক্সিজেন ও আইসিইউ’র হিউমিডিফায়ারের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে।

তিনি বলেন, সুস্থ মানুষের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কোনো কারণে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই কেবল এই সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে- যেটা ১ লাখে ২০ থেকে ৩০ জন হতে পারে।

অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভুগছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদির ধরে ভুগছেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী, অতিরিক্ত ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা, অত্যাধিক স্টেরয়েড গ্রহণ করা রোগী, কিডনি বা অন্য অঙ্গ-প্রতিস্থাপন করা রোগী এবং চরম অপুষ্টিজনিত রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

তিনি বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রাইনো অরবিটাল সেরিব্রাল ধরনটি নাক দিয়ে ঢুকে চোখ ও মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এই রোগের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে লাইপোসোমাল এমফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনের পর্যাপ্ত যোগান নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনদের সঙ্গে, ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ অকুলোপ্ল্যাস্টিক সার্জনস সোসাইটির সঙ্গে এবং ‘সি’ ব্লকে অনুষ্ঠিত চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলেন উপাচার্য।

আরও পড়ুন