প্রতি বছর ৭ এপ্রিল পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বা ওয়ার্ল্ড হেল্থ ডে। এ বছর ‘একটি সুন্দর, স্বাস্থ্যকর বিশ্বের নির্মাণ’- শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে দিবসটি পালিত হয়।
স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটিতে করোনা সুরক্ষা ও চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
এতে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্বে মোট উৎপাদিত করোনা টিকার ৭০ শতাংশ উন্নত দেশগুলোর হাতে। ফলে টিকার জন্য অর্থ বরাদ্দ ও বণ্টনে উন্নত দেশগুলো বৈষম্য করছে।’
তিনি বলেন, ‘দরিদ্র, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যথাযথ সুবিধা পাচ্ছে না। টিকার এ বৈষম্য জারি রেখে বৈশ্বিক মহামারী মোকাবিলা করা বিজয় পাওয়া কঠিন হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ৭ এপ্রিল ১৯৪৮ সালে। স্বাস্থ্য সমস্যায় নজর রাখা ও তার সমাধান এই সংস্থার মুখ্য উদ্দেশ্য। তবে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হচ্ছে।
বিশ্বের প্রত্যেকটি নাগরিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সাধনই দিবসটি পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য। কারণ সচেতনতা প্রসারের মাধ্যমেই নানান রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন