Copyright Doctor TV - All right reserved
আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি), বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের শেষ রোববার বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সে হিসাবে এ বছর ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। কুষ্ঠরোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এই দিবস পালন করা হয়।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোকে উন্নতমানের ওষুধ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘দ্বিতীয় জাতীয় লেপরোসি (কুষ্ঠ রোগ) সম্মেলন’ ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
দেশে ২০২২ সালে কুষ্ঠ রোগী কিছুটা বেড়েছে। উত্তরের সাতটিসহ ৯ জেলা সংক্রামক এ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রথম পর্যায়ে শনাক্ত ও সুচিকিৎসা পেলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। অথচ অবহেলা বা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় এ রোগে আক্রান্তের ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন।
কুষ্ঠ ভারাক্রান্ত দেশ হিসেবে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ। ২০২১ সালে দেশে কুষ্ঠরোগী ছিল ২ হাজার ৮শ’ ৭২ জন।
এই দিবসের উদ্দেশ্য হলো কুষ্ঠ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা।
১৮৭৩ সালে নরওয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. আরমার হ্যানসেন কুষ্ঠরোগের জীবাণু ‘মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রী’ আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের ফলে প্রমাণিত হয় যে, কুষ্ঠ একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ, জন্মগত, বংশগত বা অভিশাপের ফল নয়।
২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহী জাপানের সাসাকা হেলথ ফাউন্ডেশান নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
দেশে প্রতিবছর তিন হাজার নতুন করে কুষ্ঠ রোগী সনাক্ত হচ্ছে। সংক্রামক হলেও রোগটি ছড়াতে দীর্ঘ সময় নিয়ে থাকে। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র একটি ওষুধ খেলেই এই রোগের জীবানু বিনাশ সম্ভব।