Ad
Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫


নীরব ঘাতক তরুণদের দোরগোড়ায়: করপোরেট জীবনের চাপে উচ্চ রক্তচাপ!

Main Image


শাহেদ একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করেন। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা অফিস, এরপর দীর্ঘ যানজট—রাত ৯টার দিকে বাড়ি পৌঁছান। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে ঘুম; সাপ্তাহিক ছুটিতেও কাজ থেকে মুক্তি মেলে না।

 

একবার বন্ধুর সঙ্গে করপোরেট হাসপাতালে গিয়ে চেক করালে জানা যায় তার উচ্চ রক্তচাপ। এখন আর এটা শুধু বয়স্কদের রোগ নয়; তরুণদের মধ্যেও বাড়ছে মাত্রা।

উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় কোনো লক্ষণ দেয় না—এজন্যই এটিকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কখনো মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভব হতে পারে।

 

এই রোগ হার্ট, কিডনি ও মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অকস্মিক হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক পর্যন্ত ঘটতে পারে, যা প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

তরুণদের মধ্যে বাড়ার পেছনে প্রধান কারণগুলো—স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজন। আরও আছে খারাপ খাদ্যাভ্যাস, বেশি লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, এবং বেশি চর্বি-চিনিসহ খাদ্য।

 

দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা, শরীরচর্চার অভাব এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবও ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক চাপ, ধূমপান ও মদ্যপানও উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।

পারিবারিক জিনগত কারণ ও কিছু ওষুধও ভূমিকা রাখতে পারে। কিডনি বা হরমোনজনিত জটিলতা থেকেও উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।

 

প্রতিরোধে করণীয়—লবণ ও তেল কমানো, তাজা সবজি ও শস্য বেশি খাওয়া। প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা বা শরীরচর্চা করা ও পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া জরুরি।

মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা রিল্যাক্সেশন করা উচিত। ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন এবং নিয়মিত হেলথ চেকআপ করান।

 

সারকথা: জীবনযাত্রার পরিবর্তনই মূল চাবিকাঠি।
নিজে খেয়াল রাখবে—তাই ভবিষ্যৎ সুস্থ থাকবে।

আরও পড়ুন