Ad
Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫


ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে প্রিসিশন মেডিসিন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

Main Image


ক্যান্সার চিকিৎসায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে প্রিসিশন মেডিসিন—এমন অভিমত প্রকাশ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং ক্যান্সার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্ট বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

মলিকুলার ইনসাইটস, থেরাপিউটিকস এডভান্সেস অ্যান্ড পলিসি ইনোভেশন ইন ক্যান্সার কেয়ার’ শীর্ষক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে।

 

উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ।

 

এছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাই, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির এবং ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সুসান ভাইজ।

 

সম্মেলনের মূল বক্তা ছিলেন বিশ্বখ্যাত জেনেটিসিস্ট, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক স্যার ওয়াল্টার বোডমার

 

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “ক্যান্সার শুধু একটি রোগ নয়; এটি এমন এক দীর্ঘ যাত্রা যা রোগী, পরিবার ও সমাজকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।”

 

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ইতোমধ্যেই যুগান্তকারী অগ্রগতি হয়েছে। প্রচলিত ‘একই চিকিৎসা সবার জন্য’ ধারণার অবসান ঘটেছে। বর্তমানে প্রিসিশন মেডিসিনের মাধ্যমে টিউমারের জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা নির্ধারণ করা হচ্ছে।”

 

অধ্যাপক আহমেদ আরও জানান, আণবিক জীববিজ্ঞান, জেনেটিক্স, বায়োটেকনোলজি ও বায়োইনফরমেটিক্সে সাম্প্রতিক অগ্রগতি ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে এসব উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

 

তিনি বলেন, “গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা গ্রহণ, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।”

 

সম্মেলনে গবেষণা, নীতিমালা এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

আরও পড়ুন