Ad
Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫


মিটফোর্ডে অভিযান, অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ ও জরিমানা

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


রাজধানীর মিটফোর্ডের ওষুধের বাজারে যৌথ অভিযান চালিয়ে আটটি দোকান থেকে চার লাখ টাকার বেশি মূল্যের অনিবন্ধিত ওষুধ ও ইনসুলিন জব্দ করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও র‍্যাব। একই সঙ্গে লাইসেন্সবিহীন কার্যক্রম ও সংরক্ষণ ত্রুটির কারণে সমপরিমাণ অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।

 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. শামীম হায়দারের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান। 

 

তিনি জানান, “আজকের অভিযানে আমরা মোট আটটি দোকানে প্রবেশ করে প্রায় চার লাখ দশ হাজার টাকার অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করেছি। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইনসুলিন ও কিডনি রোগের ওষুধও ছিল। এসব ওষুধ সরকারের অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছিল। কিছু দোকানের আবার বৈধ লাইসেন্সও ছিল না। তাছাড়া নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণের নিয়মও তারা মানেনি। এসব অপরাধের কারণে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

 

তিনি আরও বলেন, “জব্দ করা ওষুধগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো পণ্য বৈধ নিবন্ধন ছাড়া বাজারজাত হলে তা রোগীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে।”

 

অভিযান চলাকালে স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তারা স্পষ্ট করেছেন যে, অবৈধ ব্যবসার পক্ষে তারা নেই এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে নিজেরাও দায়িত্ব নেবেন।

মিটফোর্ড এলাকার দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরাও দাবি করেন, এসব অনিয়মের বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন না। তাদের বক্তব্য, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম ঠেকাতে নিজেরাই ব্যবস্থা নেবেন। তবে বাস্তবে দোকানপাটের পরিস্থিতি বলছে, নিয়মিত নজরদারি না থাকলে অনিবন্ধিত ওষুধের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন।

 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইনসুলিন ও কিডনি রোগের ওষুধ সরাসরি জীবনরক্ষাকারী হিসেবে বিবেচিত। অথচ এসব ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত বেচাকেনা রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত করছে। বিশেষ করে মিটফোর্ড বাজার থেকে সারাদেশে পাইকারি সরবরাহ হওয়ায় এখানকার অনিয়ম সহজেই দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে।
 

আরও পড়ুন