ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেছেন, রোগীর কষ্ট অনুভব করা ও তাদের অসন্তুষ্টি দূর করা নার্সদের প্রথম দায়িত্ব। সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও আন্তরিক সেবার মাধ্যমে রোগীদের আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, রোগীরা যেন নিজের না বলা কথাগুলোও নার্সদের কাছে বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। নার্সিংকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে হবে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) শহীদ ডা. মিলন হলে গ্রাজুয়েট নার্সিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘ক্যাপিং সেরিমনি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “সিঙ্গাপুর উন্নত সার্ভিস দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। বাংলাদেশও নার্সিং সেবার মান উন্নত করে বিশ্বে পরিচিতি লাভের সুযোগ রয়েছে।”
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইসলামে মানবসেবার বিশেষ স্বীকৃতি রয়েছে, আর নার্সিং পেশা সেই সেবারই অনন্য প্রকাশ।
উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বিএমইউ নার্সদের গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য অনুদান চালু করেছে। চিকিৎসাসেবায় নার্সদের ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি নিজে অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে থাকার সময় নার্সিং সেবার গুরুত্ব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি।”
অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, নার্সিং সঙ্গীত, ক্যাপ প্রদান, শপথ অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পর্ব অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ মনির হোসেন খান। শপথ পাঠ পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক নুপুর ডি কস্তা। স্বাগত বক্তব্য দেন সহযোগী অধ্যাপক মোঃ হারুন অর রশিদ গাজী এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সেবা তত্ত্বাবধায়ক রাশিদা বেগম।
ক্যাপিং সেরিমনিতে মোট ১০০ জন নার্সিং শিক্ষার্থী শপথ নেন। এছাড়াও গ্রাজুয়েট নার্সিং বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন