Ad
Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫


ইবোলায় ১৫ জনের মৃত্যু

Main Image

ছবিঃ প্রতীকী


কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রথমে ৩৪ বছর বয়সী এক গর্ভবতী নারীর শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়। তিনি গত মাসে জ্বর ও বারবার বমির মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে তার মৃত্যু হয়।

 

এটি দেশটিতে ইবোলার ১৬তম প্রাদুর্ভাব। দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ও পূর্বাঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে কঙ্গো বারবার এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। সর্বশেষ এই প্রাদুর্ভাবটি দেখা দিয়েছে মধ্য কাসাই প্রদেশে, যেখানে ইতোমধ্যে ২৮টি সন্দেহজনক আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরীক্ষায় ইবোলার ‘জাইরে’ ধরনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে, যা অত্যন্ত বিরল হলেও মারাত্মক প্রাণঘাতী। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আমরা দ্রুত সংক্রমণ ঠেকাতে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।” সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সংক্রমণ চলমান থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতোমধ্যে মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

 

ডব্লিউএইচও জানায়, কঙ্গোতে চিকিৎসা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ২ হাজার ডোজ ‘এরভেবো’ ভ্যাকসিন মজুত আছে, যা এই ধরনের ইবোলা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর। এর আগে ২০২০ সালের দিকে হওয়া একটি বড় প্রাদুর্ভাবে ২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, যদিও সর্বশেষ প্রাদুর্ভাবে (৩ বছর আগে) মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৬ জনের।

 

১৯৭৬ সালে কঙ্গোর ইবোলা নদীর কাছে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। ধারণা করা হয়, বাদুড় থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, বমি, মল বা অন্যান্য শারীরিক তরলের সরাসরি সংস্পর্শে—বিশেষ করে ত্বকের ক্ষত, মুখ বা নাক দিয়ে।

আরও পড়ুন