Ad
Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫


বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য সংকটে ১০০ কোটির বেশি মানুষ

Main Image

ছবিঃ প্রতীকী


বিশ্বব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এখন এক ভয়াবহ সংকটে রূপ নিয়েছে। সর্বশেষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ১০০ কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, প্রতি ১০০ মৃত্যুর মধ্যে একটি আত্মহত্যাজনিত। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যা এখন বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।

 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭ লাখ ২৭ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। ডব্লিউএইচওর অ-সংক্রামক রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেভোরা কেস্টেল জানান, প্রতিটি আত্মহত্যার বিপরীতে গড়ে ২০টি করে আত্মহত্যার চেষ্টা ঘটে। এসব মৃত্যু শুধু ব্যক্তিজীবনই শেষ করে না, বরং পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের অমানবিক কষ্টের মুখে ফেলে।

 

নারীদের ঝুঁকি বেশি
২০২১ সালে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সি নারীদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ছিল আত্মহত্যা। একই বয়সি পুরুষদের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণও এটি। যদিও ২০০০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার ৩৫ শতাংশ কমেছে, তবুও ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ কমানোর যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, বর্তমান প্রবণতায় তা ১২ শতাংশের বেশি হ্রাস পাবে না।

 

অঞ্চলভিত্তিক চিত্র
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ১৭ শতাংশ। অন্য অঞ্চলে কিছুটা হ্রাস পেলেও মোট আত্মহত্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ ঘটছে নিম্নআয়ের দেশগুলোতে।

 

উদ্বেগ ও হতাশার বিস্তার
ডব্লিউএইচও জানায়, আত্মহত্যার হার কিছুটা কমলেও মানসিক ব্যাধি বিশেষ করে উদ্বেগ ও হতাশার প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির চেয়েও দ্রুত বেড়েছে। বর্তমানে এ সংখ্যা ১০০ কোটির বেশি।

 

ডব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মার্ক ভ্যান ওমেরেন মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব ও করোনা মহামারি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকটকে আরও জটিল করেছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, ২০১৭ সালের পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় হচ্ছে যা এখনো অপরিবর্তিত। হতাশায় আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র ৯ শতাংশ চিকিৎসা পাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পরিবর্তন ও প্রসার এখন বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন