ছবিঃ সংগৃহীত
অত্যাবশ্যকীয় ৩৩টি ওষুধের দাম কমিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় প্রজন্মের জন্মনিরোধক পিল উৎপাদন শুরু করেছে এবং আইভি ফ্লুইড প্ল্যান্ট চালু করেছে। বুধবার বিকেলে ইডিসিএল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আ. সামাদ মৃধা।
তিনি জানান, অতীতে এপিআই (ওষুধের মূল উপাদান) সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব ছিল, যা বর্তমানে স্বচ্ছ ও ন্যায্য মূল্যে সম্পন্ন হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ও অদক্ষ জনবল কমিয়ে উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, এতে খরচ কমেছে এবং ৩৩টি ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব হয়েছে। সব পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে আগামী ছয় মাসে অধিকাংশ ওষুধের দাম কমানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইডিসিএলের এমডি আরও জানান, তৃতীয় প্রজন্মের জন্মনিরোধক পিলের উৎপাদন শুরু হয়েছে এবং প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে তা সরকারকে সরবরাহ করা হবে। এছাড়া আইভি ফ্লুইড প্ল্যান্টের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে; ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই সাধারণ স্যালাইন ও কলেরা স্যালাইন উৎপাদন শুরু করে সরকারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও সরকারি চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট লাইন সাজানো হচ্ছে, যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ দ্রুত উৎপাদন করে ধাপে ধাপে সরকারের পূর্ণ চাহিদা মেটানো যায়। ইডিসিএলের নতুন দুটি প্ল্যান্ট কেবল সনাতনি ওষুধ নয়, টিকা এবং জীবপ্রযুক্তিনির্ভর পণ্য উৎপাদনেও সক্ষম হবে।
গত ছয় মাসে ইডিসিএলের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ৩৩টি ওষুধের দাম হ্রাস, চুক্তিভিত্তিক উৎপাদন কমানো, সিন্ডিকেট ভেঙে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে কম দামে কাঁচামাল সংগ্রহ, অদক্ষ জনবল হ্রাস, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ওভারটাইম কমানো, শ্রমিক-কর্মচারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন, ওষুধের গুণগত মান উন্নয়ন এবং সরকারি সাপ্লাই চেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন