বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের পরিচালনা বোর্ড ৬৫ জন চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল করেছে। বোর্ডের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল এবং যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ না করেই চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি অ্যাড-হক ভিত্তিতে এসব চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা হয়নি, এমনকি নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়নি। শুধুমাত্র হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে একটি সীমিত সময়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি টাঙানো হয়। এতে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার ঘাটতি দেখা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি আলোচনায় এলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয় এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৬৫ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে এ নিয়োগে কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষা গ্রহণ, খাতা মূল্যায়ন কিংবা মেধাক্রম অনুসারে ফল প্রকাশ ও প্রজ্ঞাপন ছাড়াই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ায়, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বঞ্চিত ও সাধারণ চিকিৎসকরা। তারা দাবি করেছেন, এই নিয়োগ বাতিল করে একটি স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হোক। পাশাপাশি, মেধার ভিত্তিতে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।শুরু থেকেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চিকিৎসক মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়। স্বল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তি, লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ, এবং আবেদনকারীদের সবাইকে নিয়োগ দেওয়া এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিভিন্ন সংগঠনগুলো।
আরও পড়ুন