ছবিঃ সংগৃহীত
মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনসংক্রান্ত একটি হালনাগাদ আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন এই ‘মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর মাধ্যমে দেশে অঙ্গ দান ও প্রতিস্থাপনের আইনি কাঠামো আধুনিক ও বিস্তৃত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “নতুন আইনে অঙ্গদানের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন শুধু নিকটাত্মীয় নয়, ভাতিজা-ভাগ্নে’রাও আইনি অনুমোদনের আওতায় অঙ্গ দান করতে পারবেন।”
তিনি জানান, “দেশের অভ্যন্তরেই বৈধভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগে যেসব রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে যেতেন, এখন দেশের হাসপাতালগুলোতেই এ সেবা পাওয়া যাবে। এতে ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি অবৈধ অঙ্গচিকিৎসা বন্ধেও সহায়ক হবে।”
অধ্যাদেশটি তৈরিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে কাজ করা হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন পর্যালোচনা করেও অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
মৃত্যুর পর দেহ দানের বিষয়েও আইনে সংশোধন এসেছে। প্রেস সচিব বলেন, “যাঁরা চিকিৎসা গবেষণার জন্য দেহ দান করতে চান, তাঁদের লাশ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় অঙ্গ সংগ্রহের সুযোগ রাখা হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ও নাঈম আলী উপস্থিত ছিলেন।
সরকার মনে করে, অঙ্গ প্রতিস্থাপনকে কেন্দ্র করে দেশে চিকিৎসা সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই অধ্যাদেশ।
আরও পড়ুন