ছবিঃ সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) তিন দিনব্যাপী ফটো এক্সিবিশন এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলের সামনে করিডোরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফটো এক্সিবিশনের উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম।
ফটো এক্সিবিশনে ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের হত্যা, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিজয়সহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা ঐতিহাসিক দৃশ্যাবলি স্থিরচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। একই সময়ে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, ফ্রি স্ক্রিনিং ও রক্তদাতা নিবন্ধীকরণ কার্যক্রমও পরিচালিত হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম বলেন, “জুলাই বিপ্লব একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও অধিকারপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনের পথে আমাদের প্রেরণা যোগায়। এই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে।”
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে দেশের মানুষ পরাধীন ছিল। স্বাধীন দেশে ক্ষমতার লোভে মানুষ হত্যা—এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “এই প্রদর্শনী শুধু চোখে দেখার নয়, মনের গভীরে ধারণ করার বিষয়। চিন্তা ও কর্মে জুলাই চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, “জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না। তাদের আদর্শ আমাদের রাষ্ট্র গঠনের পথ দেখাবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকর্তারা, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নার্সসহ বিপুলসংখ্যক অংশগ্রহণকারী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত এবং ডা. এমদাদুল হক ইকবাল।
একই সময় রক্তদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুনসহ ডা. নাহিদ সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক ডা. খান আনিসুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. ফিরোজা বেগম, সহকারী অধ্যাপক ডা. সোনিয়া শরমিন মিয়া এবং ব্ল্যাড প্রোগ্রাম অফিসার ডা. নাদিয়া শারমিন তৃষা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমইউ কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই আয়োজন বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত করবে।
আরও পড়ুন