ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত জবাবদিহির সূচনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্টভাবে আশা প্রকাশ করেছেন যে, পুতুলকে এ পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হবে।
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে শফিকুল আলম এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “সায়মা ওয়াজেদকে গুরুতর জালিয়াতি, জাল কাগজপত্র তৈরি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন ছুটিতে পাঠানোর ডব্লিউএইচওর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এটি জবাবদিহির পথে প্রথম পদক্ষেপ মাত্র।”
তিনি আরও লেখেন, “আমরা একটি স্থায়ী সমাধানের প্রত্যাশা করি, যা সায়মাকে এই পদ থেকে সরাবে, তার সব সুবিধা বাতিল করবে এবং জাতিসংঘ ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।”
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, “বাংলাদেশের জনগণ ও বৈশ্বিক জনগোষ্ঠী স্বচ্ছতা, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহির এই উত্থানে সন্তুষ্ট।”
এর আগে শুক্রবার (১১ জুলাই) ডব্লিউএইচও কর্তৃক সায়মা ওয়াজেদকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এক অভ্যন্তরীণ ইমেইলের মাধ্যমে জানান, পুতুলের অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী মহাপরিচালক ডা. ক্যাথরিনা বোহমে। তিনি ১৫ জুলাই নয়াদিল্লি অফিসে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
সায়মা ওয়াজেদ, যিনি বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমানে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। শুরু থেকেই এই নিয়োগকে ঘিরে বিস্তর বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ছিল, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুতুলকে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ এই পদে বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন