ছবিঃ সংগৃহীত
আগামী বছর হজে অংশ নিতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ফিটনেস সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সৌদি সরকার।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) জানিয়েছে, হজে প্রাক-নিবন্ধনের আগেই স্বাস্থ্য যাচাই সম্পন্ন করতে হবে। চলতি বছর (২০২৫ সালের হজ) ৮৭ হাজার বাংলাদেশি হজযাত্রীর মধ্যে ৬৯ হাজার জনকে সৌদি আরবে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২৪ জনকে ভর্তি হতে হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক বাংলাদেশি হজযাত্রী কিডনি, ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত অবস্থায় হজে যাচ্ছেন। এছাড়া উচ্চ বয়সের কারণে অনেকেই সৌদি আরবে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের অবশ্যই সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
এ বিষয়ে হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, “অসুস্থ হাজির জন্য মক্কা, মিনা, মুজদালিফা বা আরাফায় পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করা কঠিন। তাই সৌদি সরকার চাইছে, অত্যন্ত অসুস্থ ব্যক্তিরা যেন হজে অংশ না নেন।”
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। হজে যেতে ইচ্ছুকরা এখন সিভিল সার্জনের কার্যালয় বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বলেন, “অনেক রোগী হজে গিয়ে ডায়ালাইসিস করতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি এড়াতে স্বাস্থ্য যাচাইয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে হাব জানিয়েছে, হজের মতো একটি পবিত্র ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় যেন কোনো প্রকার ব্যবসা-বাণিজ্য ঢুকে না পড়ে, সেদিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের হজ কাফেলায় সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ৪২ জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন, এবং ২২ জন ভর্তি আছেন স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে।
আরও পড়ুন