Ad
Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫


রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হলো গর্ভবতী ও প্রসূতি মা এবং অপরিণত নবজাতকদের জীবন রক্ষা বিষয়ক সভা

Main Image


আজ রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো “Saving Women & Premature Babies” শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সমাপ্তি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ক সভা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা Save the Children, যার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে অপরিণত নবজাতকের মৃত্যু হ্রাস ও মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. শাহানুর আলম। তিনি বলেন, “এদেশের মানুষ সাইন্স কে সহজে গ্রহণ করে। আমরা সাইন্সকে যদি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে জনসাধারণ তা গ্রহণ করবে।”
এছাড়াও প্রজেক্ট সম্পর্কে বলেন, “ক্যাঙ্গারু মাদার, bCPAP খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ইনভেস্টমেন্ট কম তবে বেনিফিট অনেক বেশি”

 

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩ লাখ শিশু সময়ের আগেই জন্ম নেয়, যাদের অনেকেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধার অভাবে মৃত্যুবরণ করে।

এই প্রজেক্টে ব্যবহৃত হয়েছে Vayu bCPAP নামের একটি উদ্ভাবনী শ্বাসযন্ত্র সহায়ক প্রযুক্তি, যা বিদ্যুৎ ও অক্সিজেন ছাড়াও কার্যকরভাবে ব্যবহারযোগ্য। ইতোমধ্যে সিলেট, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং নবজাতকের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে তা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে চিকিৎসক ও নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়, ফলে নবজাতকদের পরিচর্যার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

সভায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় যে, এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রিম্যাচিউর বার্থের হার ১৪.২ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মাতৃস্বাস্থ্যের মানোন্নয়নের প্রতিও জোর দেওয়া হয়।

 

উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নবজাতক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Neonatology) বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল মান্নান, প্রশাসনিক প্রো-উপাচার্য ডা. আবুল কালাম আজাদ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রো-উপাচার্য ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সহ বিশিষ্ট গবেষক ও স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

আয়োজকরা বলেন, “Saving Women & Premature Babies” প্রকল্পের অর্জন ও অভিজ্ঞতা আগামী দিনে দেশের স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নবজাতকের জীবন রক্ষায় এই ধরনের উদ্যোগ দেশের জন্য একটি বড় অগ্রগতি।

আরও পড়ুন