গর্ভকালে মায়েদের কমপক্ষে ৪ বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। শনিবার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে বিশ্ব প্রি-এক্লাম্পসিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘প্রি-এক্লাম্পসিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, জানুন’।
এদিন হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের ফিটো মেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে সেমিনার, সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এ রোগ প্রতিরোধে সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখতে হবে।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারজানা সোহাইলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম। এ সময় তিনি বলেন, সঠিক গর্ভপূর্ব ও গর্ভকালীন চেকআপের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মা চিহ্নিত করে এক্লাম্পসিয়া প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যায়।
অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি ফারহানা দেওয়ান প্রি-এক্লাম্পসিয়া নিয়ে সচেতনতামূলক প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, গর্ভকালে অন্তত চারবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে মায়েদের। যেন ঝুঁকি নির্ণয় করা যায়।
সভায় জেস্টোসিস সোসাইটির (যারা গর্ভকালে হাইপারটেনশন নিয়ে কাজ করেন) সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম খিঁচুনি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ ম্যাগসালফ সব হাসপাতালে অবশ্যই থাকতে হবে বলে দাবি করেন।
ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ বলেন, মাতৃমৃত্যু কমাতে হলে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে হবে।
প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া যা চিকিৎসার অবহেলায় মা ও শিশুর জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এটা মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ।
আরও পড়ুন