Advertisement
Doctor TV

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫


রোগীদের জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নমূলক গবেষণার আহ্বান

Main Image


এমন গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে যাতে সহজে রোগীদের জীবন রক্ষাসহ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন ও রোগ প্রতিরোধে বিরাট ভূমিকা রাখা সম্ভব হতে পারে। বৃস্পতিবার (১৫ মে) বিএমইউর বি ব্লকের সামনের ফোয়ারা থেকে গ্লোবাল ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার (কেএমসি) দিবস উপলক্ষে র‌্যালিপূর্বক সমাবেশে একথা বলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য- ইন ইউর আর্মস, আই থ্রাইভ। 

 

অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম তাঁর বক্তব্যে নবজাতকদের যত্ন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আগামী দিনের সুন্দর পৃথিবী গড়তে নবজাতকদের অবশ্যই সুস্থ রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও গণমাধ্যমকে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। গ্লোবাল ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার দিবস ২০২৫ আয়োজিত নানা আয়োজন বিশ্বব্যাপী অপরিণতসহ সকল নবজাতকদের জীবন রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এটা বিশ্বব্যাপী গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত যে, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতি অপরিণত নবজাতকসহ নবজাতকদের সুস্থতা ও জীবন রক্ষা ও মৃত্যুঝুঁকি হ্রাসে বিশেষ অবদান রাখছে। কেএমসি পদ্ধতি কত সহজ গবেষণা কিন্তু নবজাতকদের জীবন রক্ষায় বিরাট ভূমিকা রাখছে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তাই জীবন রক্ষায় ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ারের মতো সহজ গবেষণা মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

 

এসময় বিএমইউ এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অঅধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, নবজাতকদের ঝুঁকিপূর্ণ জীবন রক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো সচেতন হতে হবে।

 

র‌্যালিতে বিএমইউর সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক (নিওনেটোলজি) বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্টবৃন্দ, আইসিডিডিআরবি এর বিজ্ঞানীগণ অংশ নেন।

র‌্যালি শেষে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে নবজাতকদের যত্ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মুত্যুহার রোধে জনসচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।  

 

উল্লেখ্য, অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করা একটি শিশুর জীবন রক্ষায় প্রায় বিনামূল্যে পাওয়া একটি সফল চিকিৎসা সেবা। প্রাণীদের মধ্যে ক্যাঙ্গারু যেভাবে তাঁর জন্ম নেয়া অপরিণত বাচ্চাকে তার বুকের থলের ভেতরে আগলে রেখে মাতৃদেহের উমে বড় করে তুলে সেই কৌশলকে অনুসরণ করে এই পদ্ধতিটি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে জন্মের পর নবজাতককে মায়ের কাছে রেখে বিশেষ করে মায়ের ত্বকের সাথে নবজাতককের ত্বক মিশিয়ে নবজাতকের যতœ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন