বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল
নবজাতকের প্রাণঘাতি রোগ ‘প্রাইমারী পালমোনারী হাইপারটেনশন অফ নিউবর্ন’ (PPHN) নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে দেশে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালে ‘নাইট্রিক অক্সাইড জেনারেটর’ স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাাতালের এ উদ্যোগ নবজাতকের মৃত্যু রোধে ব্যাপক অবদানের মাধ্যমে এসডিজি অর্জনে বিশাল ভূমিকা রাখবে বলে ্্ আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রচলিত চিকিৎসায় এ রোগে আক্রান্ত নবজাতকের ৫০ শতাংশেরও কম রোগী বাঁচানো যায়। তবে নাইট্রিক অক্সাইড জেনারেটরের মাধ্যমে সুচিকিৎসায় ৯৮ শতাংশেরও বেশী রোগীর সুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে। এর সাহায্যে অত্যন্ত স্বল্প খরচে পিপিএইচএন রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল। যদিও অন্যান্য দেশে এ ধরনের চিকিৎসা ব্যয়বহুল।
‘নাইট্রিক অক্সাইড জেনারেটর’ স্থাপন উপলক্ষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ৩টায় নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়স্থ বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতাল এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন, শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মাতুয়াইল, ঢাকার পরিচালক এবং বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি ডা. মো. মজিবুর রহমান মুজিব। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, অধ্যাপক ডা. শরিফুন্নাহার, প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট), বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক ডা. জাবরুল এস এম হক, সিইও এবং ডিরেক্টর- মেডিকেল সার্ভিসেস, আজগর আলী হাসপাতাল। এছাড়া বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য নবজাতক বিশেষজ্ঞ ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, নবজাতকের প্রাইমারি পালমোনারি হাইপারটেনশন (পিপিএইচএন) একটি গুরুতর চিকিৎসা অবস্থা। যা নবজাতকদের প্রভাবিত করে এবং তা স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী এবং পরিবারের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে। এই অবস্থ, ফুসফুসে উচ্চ রক্তচাপ দ্বারা চিহ্নিত, জন্মের পরে রক্ত সঞ্চালনের স্বাভাবিক পরিবর্তনকে বাধা দেয়।
পালমোনারি হাইপারটেনশনের কারণে একটি নবজাতকের সংবহনতন্ত্র গর্ভের বাইরের বাতাসে শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঠিকভাবে খাপ খাওয়াতে পারে না। সংকটাপন্ন এ পরিস্থিতিতে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক নবজাতক ও শিশুর অকাল মৃত্যু ঘটে। অথচ এর উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশে নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন