বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের ২৪তম আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশন চলছে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়েছে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) থেকে। সম্মেলন চলবে রোববার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত।
‘সবার জন্য উন্নত চিকিৎসা’ -স্লোগানে আয়োজিত এ সম্মেলনে অন্তত ১০টি সেশনে উপস্থাপন করা হচ্ছে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ। এবারের সম্মেলনে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ জন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নিয়েছেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সরোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেনসহ অনেকে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে শহীদ ও আহতদের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানান সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক মনির-উজ-জামান। মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা সেই সময়ও চিকিৎসা ফ্রন্টে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। আজকের বাংলাদেশ গড়ার পেছনে তাদের নীরব কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেডিসিন হলো চিকিৎসা ব্যবস্থার মূলধারা, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বল্প খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করে। বর্তমানে দেশে ১১৪টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে ৩৭টি সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকলেও, মেডিসিন বিভাগের জনবল এখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম। তিনি সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে নতুন পদ সৃষ্টি ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের জোর দাবি জানান।
অধ্যাপক ডা. মনির-উজ-জামান বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন। স্বাস্থ্য খাতের প্রতিটি স্তরে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। এরই ফলশ্রুতিতে কোভিড-১৯, ডেঙ্গু, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ-রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসায় বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
সম্মেলনের আয়োজকরা জানান, দেশের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিসিন চিকিৎসকদের অবদান এবং ভবিষ্যতে তাদের ভূমিকা আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যেই এ আয়োজন।
তারা আশা প্রকাশ করেন, এই সম্মেলন নতুন গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাচর্চার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যখাতে টেকসই উন্নয়নের পথকে আরও প্রশস্ত করবে।
আরও পড়ুন