Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫


প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে

Main Image


উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব মহামারি- যা প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের রয়েছে। সাম্প্রতিক স্টেপস জরিপ (২০১০-২০২২) অনুযায়ী, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ২০১০ সালে যেখানে প্রাদুর্ভাবের হার ছিল ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশে। অনুমান করা হচ্ছে- ২০৩০ সালের মধ্যে এই হার বেড়ে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

 

গত রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের সহযোগিতায় “Prioritization of Hypertension Control in Bangladesh by Increasing Access to Anti-Hypertensive Drugs” শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়। 
 

প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য সেবা হল দেশের জনগণের অধিকার, আর এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকল মন্ত্রণালয়কে এক হয়ে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীদের মাঝে ডিজিটাল কমিনিকেশন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা সম্ভব। 

 

সভার সভাপতি ও বিএমইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, উচ্চ রক্তচাপকে রোগ বলে গণ্য করা হতো না, যদি এর কোন কমপ্লিকেশন না থাকত। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত জরুরি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। 
 

এছাড়া সকল নীতিনির্ধারক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কৌশল যেমন বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি, ওষুধ সরবরাহ চেইন নিশ্চিতকরণ, এবং লজিস্টিক অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়, যা বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থার ঘাটতি দূর করতে সহায়ক হবে।
 

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নীরবে আমাদের জনগণের স্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। ন্যায্য চিকিৎসা সেবার অধিকার নিশ্চিত করতে সমন্বিত ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
 

অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ডা. মো. এনামুল হক, মো. খোরশেদ আলম-সহ অনেকে। 
 

এছাড়াও প্রকল্পের পক্ষ থেকে ছিলেন-  বিএমইউ জার্নালের নির্বাহী সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম মোস্তফা জামান, বিএমইউ টিম লিড অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক, GHAI এর বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, NHFH&RI এর পরামর্শক অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, বিএমইউর সহকারী অধ্যাপক ডা. মারুফ হক খান, প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডা. শাহানা সুলতানা, ও অ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর ডা. তানজিলা বুশরা।

আরও পড়ুন