Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫


চলমান যুদ্ধে গাজার ৩৫টি হাসপাতাল ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

Main Image

গাজার আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলা


ফিলিস্তিনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা শহরের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালের ভেতরে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (১২ এপ্রিল) চালানো হামলায় হাসপাতালের জরুরি ও রিসেপশন বিভাগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যান্য অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

 

হামলার কিছুক্ষণ আগে একজন ব্যক্তি নিজেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফোন করলে তারা রোগীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেন। এরপরই হামলাটি ঘটে এবং রোগীদের দ্রুত ভবন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

 

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনী যে ৩৫টি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। এই হাসপাতালগুলোর মধ্যে আল-আহলি হাসপাতালও রয়েছে।

 

গাজা সিটিতে যেসব হাসপাতালের ওপর হামলা হয়েছে, সেগুলো হলো-আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্স, আল-আহলি হাসপাতাল, আল-কুদস হাসপাতাল, আল হায়াত স্পেশালাইজড হাসপাতাল, আল হেলু হাসপাতাল, আল-কারামা হাসপাতাল, পেশেন্ট’স ফ্রেন্ডস হাসপাতাল, পাবলিক সার্ভিস হাসপাতাল, ইন্টারন্যাশনাল আই হাসপাতাল, সেন্ট জন আই হাসপাতাল, আসসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্স, হামাদ হাসপাতাল, হাইফা হাসপাতাল, আল ওয়াফা হাসপাতাল, আল মাহদি ম্যাটার্নিটি হাসপাতাল, এমিরাতি হাসপাতাল এবং তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল।

 

উত্তর গাজায় যেগুলোতে হামলা হয়েছে। সেগুলো হলো-ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল, কামাল আদওয়ান হাসপাতাল, বেইত হনুন হাসপাতাল, আল-আওদা হাসপাতাল, সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল, আল রান্তিসি হাসপাতাল, আল নাসর শিশু হাসপাতাল, মুহাম্মদ আল-দুররাহ হাসপাতাল, স্পেশালাইজড আই হাসপাতাল, হ্যাপি আল-ইয়েমেন হাসপাতাল, মুসলিম স্পেশালিস্ট হাসপাতাল এবং জর্ডান ফিল্ড হাসপাতাল।

 

মধ্য গাজার জাফা হাসপাতাল বোমা মেরে ধ্বংস করা হয়েছে। দক্ষিণ রাফাহতে মোহাম্মদ ইউসুফ আল-নাজার হাসপাতালকেও অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। দক্ষিণ খান ইউনিসের যেসব প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে সেগুলো হল — নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স, আলজেরিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, দার এসসালাম হাসপাতাল এবং আল-আমাল হাসপাতাল।

 

এই হামলার ফলে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার রোগী, আহত ব্যক্তি ও আশ্রয়প্রার্থী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন