Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫


কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু

Main Image


স্বল্পপরিসরে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার (৭ এপ্রিল) হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৯০টি শয্যায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান।  

 

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, হাসপাতালটির উদ্বোধন ছিল আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। ৫০০ শয্যার হাসপাতালটি বড় পরিসরে না হলেও অন্তত স্বল্পপরিসরে হলেও চালু করতে সক্ষম হয়েছি। পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গরূপ দেয়া হবে। রোগীদের সুযোগ সুবিধাও বাড়বে।

 

অনেকটা সাদামাটা পরিবেশেই উদ্বোধন করা হয় হাসপাতালটির আংশিক কার্যক্রম। এ সময় হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু বিভাগ পরিদর্শন করেন তিনিসহ হাসপাতালের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। এর আগে কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতাল থেকে বেশ কিছু রোগী স্থানান্তর করা হয় এ হাসপাতালে। এসব রোগীরা নতুন হাসপাতালের সার্বিক পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

 

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে আসা আমজাদ হোসেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার কুষ্টিয়ার আড়াইশ’ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। গতকাল আমাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে সেবার মান দেখে ভালোই মনে হচ্ছে। তবে ওষুধ ও খাবার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

 

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগীয় প্রধান ও মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আকরামুজ্জামান মিন্টু জানান, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ১৯ জন এবং শিমু ওয়ার্ডে ২২ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। মেডিসিন বিভাগে সর্বোচ্চ ৪৫ জন এবং শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ জন রোগী ভর্তি করা হবে।

 

হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ারুল কবীর জানান, স্বল্প পরিসরে মেডিসিন ও শিশু বিভাগে ৪৫ টি করে সর্বমোট ৯০ শয্যায় আবাসিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গরূপে হাসপাতালটি দ্রুতই চালু করা সম্ভব হবে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আপাতত হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু হচ্ছে না। রোগী ভর্তি হতে হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রেফার্ড বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে জরুরিভাবে অনুমতি বা কোন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকের পরামর্শে আসা রোগীদের ভর্তি করানো হবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য অক্সিজেন সাপোর্ট, কিছু ওষুধ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৭৫ কোটি টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর মৌজায় ২০ একর জমিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন সময়ে ৫৩টি প্যাকেজে ৫২ জন ঠিকাদার কাজের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও নকশা জটিলতাসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। কয়েকদফা পেছানো হয় নির্মাণ কাজ। এতে ২৭৫ কোটি টাকা থেকে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬১১ কোটি টাকায়।

আরও পড়ুন