Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫


বিএমইউতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ডকুমেন্টারি ও আলোচনা সভা

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই ২০২৫) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বক্তারা জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের আহ্বান জানান।

 

আলোচনা সভার শীর্ষক ছিল— ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: কালের সাক্ষী বিএমইউ’। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী। সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

 

বিশেষ দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটিতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনা ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব। স্বাগত বক্তব্য দেন ডকুমেন্টারি ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটির সভাপতি ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন সায়ন্ত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।

 

বক্তব্যে সচিব ডা. সারোয়ার বারী জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ হাজার ফ্রি চিকিৎসা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে এবং ৭৫ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

 

সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, “জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদের রূপ। এই চেতনায় আগামী দিনে আমাদের এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে হবে, যেখানে উন্নত চিকিৎসা ও মানবিক সেবা থাকবে নিশ্চিত।”

 

সভায় শহীদ ডা. সজীব সরকারের বাবা মো. হালিম সরকার বলেন, “আমি রাষ্ট্রকে একজন সেবক দিয়েছি, আর রাষ্ট্র আমাকে লাশ দিয়েছে। এই কষ্ট ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।”

বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের দমন-পীড়ন, নিপীড়ন ও গুম-খুনের বিরুদ্ধে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলই ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান। তারা এই চেতনা সামনে রেখে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

আয়োজনে বিএমইউর শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, কর্মকর্তা, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন