Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫


গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ক্লাস নিলেন বিএমইউর শিক্ষিকা

Main Image


গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ক্লাসে অংশ নিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) মনোরোগবিদ্যা বিভাগের শিক্ষিকা অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিনের বিরুদ্ধে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যান্য চিকিৎসক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. আলগিন আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) একজন সক্রিয় সদস্য। অতীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মিছিলে শিক্ষার্থীদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু ম্যাম আমাদের স্পষ্ট করে বলেন যে, ক্লাসে না আসলে ভবিষ্যতে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারব না। অনেকেই তাই বাধ্য হয়ে ক্লাসে যায়।’

 

এদিকে বিএমইউ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার সব ক্লাস ও পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে অধ্যাপক সুলতানা আলগিন সেই নির্দেশনা অমান্য করেই এমডি কোর্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে জোর করেন এবং অনুপস্থিত থাকলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বন্ধ বা ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষার্থী।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, একজন শিক্ষকের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের মানসিক ও একাডেমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও ধর্মীয় বৈষম্যপূর্ণ আচরণ একটি গণতান্ত্রিক শিক্ষা পরিবেশের পরিপন্থি। যখন একজন শিক্ষক তার ক্ষমতা, রাজনৈতিক পরিচয় বা ব্যক্তিগত মতাদর্শ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার হরণ করেন, তখন তা শুধু শিক্ষার্থী নয়, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অধ্যাপক ডা. আলগিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি এসেছে, সেটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। 

আরও পড়ুন