শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে চলমান অরাজকতা নিয়ে উদ্বেগ ও সতর্কবার্তা দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি সতর্কবার্তা দিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার "স্বাস্থ্যসেবা" থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেওয়া হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতি চিকিৎসক সমাজ গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে পুরোপুরি অচল করে দিতে পারে এবং অপচিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত করতে পারে বলে চিকিৎসক সমাজের আশঙ্কা।
দেশের মেডিকেল স্টুডেন্ট, ইন্টার্ন চিকিৎসক, পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সকল চিকিৎসক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন এইসব হঠকারী সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, যার উদ্দেশ্য দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া।
ডিগ্রিহীন ব্যক্তিদের দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং ভুল চিকিৎসা প্রদান রাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের সাথে প্রতারণার শামিল।
চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী সমাজ দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে জানিয়ে দিচ্ছে- আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এই হঠকারী সিদ্ধান্ত বাতিল করুন এবং দ্রুত চিকিৎসকদের সাথে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করুন। অন্যথায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে দেশের জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসক সমাজ কঠোর কর্মসূচি প্রদানে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন