Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


অতিরিক্ত প্যারাসিটামল গ্রহণে নষ্ট হতে পারে লিভার, কিডনি

Main Image

প্যারাসিটামল


বেশি মাত্রায় প্যারাসিটামল খেয়ে ফেললে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে তা বুঝিয়ে বলেছেন ব্রিটেনের নটিংহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা। তাদের দাবি, প্যারাসিটামল নির্দিষ্ট ডোজে না খেলে বা যখন তখন বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেললে তা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। কেউ যদি ওষুধটি বেশি ডোজে খান, এতে তার লিভার ও কিডনিতে চাপ পড়বে। পেটের গোলমাল তো হবেই, কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কাও বাড়বে।


গবেষকেরা বেশি প্যারাসিটামল খেলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাসিটামল খেতে থাকলে ঘন হলুদ রঙের প্রস্রাব, তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা— লিভার খারাপ হওয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন ।

 

নটিংহামের গবেষকেরা ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের নিয়ে সমীক্ষাটি চালান। তারা দেখেন, কথায় কথায় প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস যাদের রয়েছে, তাদেরই পরবর্তী সময়ে পেপটিক আলসার ধরা পড়েছে। এমনকি, কিডনির ক্রনিক রোগেও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। হার্টের অসুখ ও হাইপারটেনশন ধরা পড়েছে বেশ কয়েকজনের।

 

২০১৬ সালে ‘দ্য ল্যানসেট’ বিজ্ঞানপত্রিকায় প্যারাসিটামল নিয়ে একটি গবেষণার খবর ছাপা হয়েছিল। সেখানে গবেষকেরা বলেছিলেন, প্রায় ৫৮ হাজার মানুষকে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয় কয়েক বছর ধরে। তাতে দেখা যায়, প্যারাসিটামল কখনোই ব্যথার উপশম করতে পারে না। বর্তমানে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ওয়েইয়া ঝাংও একই কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সাল থেকে প্রায় লাখ চারেক আর্থ্রাইটিসের রোগীকে লাগাতার প্যারাসিটামল খাইয়ে দেখা গিয়েছে, তাদের গাঁটের যন্ত্রণা কমেনি। কয়েক জনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডোজে প্যারাসিটামল কাজ করেছে মাত্র। তবে বেশিভাগের শরীরেই তা কাজ করেনি।

 

গবেষকদের মত, প্যারাসিটামল এমনিতে নিরাপদ ওষুধ। যদি চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট ডোজে খাওয়া হয়, তা হলে উপকার হতে পারে। কিন্তু যদি বেশি ডোজে বিধি না মেনে খাওয়া হয়, তা হলে ক্ষতি হতে পারে। শরীরের ওজন বুঝে দিনে ৩ থেকে ৪ গ্রামের বেশি প্যারসিটামল খাওয়া কখনোই উচিত নয়। দেহের প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, তার বেশি নয়।

আরও পড়ুন