Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়স ৩৪ করতে পিএসসির আপত্তি নেই: চেয়ারম্যান

Main Image

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়স বৃদ্ধি আন্দোলনের প্রতিনিধিরা


বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়স ৩৪ করতে আপত্তি নেই বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়স বৃদ্ধি আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ কথা জানান পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম। সাক্ষাতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের নেতৃত্ব দেন বিএসএমএমইউর জেনারেল সার্জারি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. রুহুল আমীন। 
 

এ বিষয়ে ডা. রুহুল আমীন ডক্টর টিভিকে জানান, সাক্ষাতকালে পিএসসির চেয়ারম্যান স্যার চিকিৎসকদের দাবির সাথে একমত প্রকাশ করেন। শিঘ্রই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে বিসিএস এ চিকিৎসকদের বয়স বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

 

এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর বিসিএস এ চিকিৎসকদের বয়স বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। 

 

চিকিৎসকদের আবেদনপত্রে বলা হয়, আমরা দেশের সাধারণ এমবিবিএস চিকিৎসক। আমরা জেনেছি ৪৭তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপনে সকল আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হয়েছ, যা বিপ্লবোত্তর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদার ও বৈষম্যহীন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচায়ক এবং এই সরকার এই কারণে আপামর সকল নবীন এবং প্রবীনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

 

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য বিসিএস আবেদনকারীর স্নাতক শেষ করতে যেখানে নূন্যতম ৪ বছর লাগে সেখানে সকল চিকিৎসকদের এমবিবিএস স্নাতক ও ইন্টার্ণশিপ শেষ করতে নূন্যতম ৭৮ মাস বা সাড়ে ৬ বছর লাগে, তাই পূর্ববর্তী সকল সাধারণ বিসিএস আবেদনকারীদের যেখানে বয়সসীমা ৩০ বছর ছিল সেখানে চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩২ ছিল। তাই একই কারণে উদার ও বৈষম্যহীন ন্যায় প্রতিষ্ঠায় চিকিৎসকদের বয়সসীমা পূর্বের ন্যায় ২ বছর বৃদ্ধিপূর্বক ৩২ এর পরিবর্তে ৩৪ করার আবেদন করছি।’

 

একই দাবিতে গত ৩ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়স বাড়ানোর দাবি জানান চিকিৎসকরা। সমাবেশে চিকিৎসকরা বলেন, সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়ি ৩২ করা হলেও সুবিধা বাড়েনি চিকিৎসকদের। কারণ চিকিৎসকদের বয়সসীমা আগে থেকেই ৩২ বছর নির্ধারণ করা ছিল। এখনও ৩২ই রয়েছে।

 

অতিরিক্ত সময় চাওয়ার পেছনে চিকিৎসকদের যুক্তি হচ্ছে- এমবিবিএস কোর্স ৫ বছরের। এর সাথে ইন্টার্নি ১ বছরের করতে হয়। এর পর রেজাল্ট আসতে আরও প্রায় ৬ মাস লাগে। সবমিলিয়ে একজন চিকিৎসকের গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করতে ৬ বছর থেকে সাড়ে ৬ বছর লেগে যায়। দেখা যায়, একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর যেখানে গ্রাজুয়েশন করতে ৪ বছর লাগে, সেখানে একজন চিকিৎসকের গ্রাজুয়েশন করতে ২ থেকে আড়াই বছর বেশি লাগে। এই অতিরিক্ত সময় লাগার কারণে, বিসিএসেএর জন্য পূর্বে যে ২ বছর বাড়তি সময় দেয়া ছিল। বর্তমানে অন্য সবার ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হলেও, চিকিৎসকদের আগের মতই ৩২ বছর রয়ে গেছে। এ কারণে অতিরিক্ত সময় বাড়ানোর সুবিধা অন্যরা পেলেও, চিকিৎসকেরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 
 

তারা আরও বলেন, আমাদের দেশের মেডিকেলের পড়ালেখার সাথে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নের অনেক দূরত্ব রয়ে গেছে। যেখানে একজন সাধারণ স্টুডেন্ট অনার্সে ভর্তির পর থেকেই বিসিএস পরীক্ষার প্রিপারেশনের সুযোগ পায়, অথবা তার পড়ালেখার ধরণটা বিসিএস পরীক্ষার সাথে মিল থাকে। কিন্তু এমবিবিএস পড়ালেখা সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ায়, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বাড়তি পড়ালেখা করে বিসিএস প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হয়। এর সাথে রয়েছে বয়সের সীমাবদ্ধতা। এসব কারণে পূর্বের মতো জেনারেল ক্যাডারের চাইতে টেকনিক্যাল ক্যাডার স্বাস্থ্যের জন্য অতিরিক্ত ২ বছর সময় বাড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে জোর দাবি জানান চিকিৎসকরা। 

আরও পড়ুন