সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম
রেফারেল পদ্ধতি কার্যকর না থাকায় সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এখন সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১২০০ থেকে ১৫০০ রোগী আসছে। এর মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে, কেউ জরুরি চিকিৎসা নিয়ে ফিরছে, আবার কাউকে বাইরে পাঠানো হচ্ছে। যদি গ্রাম-ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাহলে তারা জেলা হাসপাতালে আর আসত না। রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. অং সুই প্রু মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাসলিম উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এসময় উপদেষ্টা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে চমেক হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, উপজেলা বা গ্রাম পর্যায়ের ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতে লোকবল ও যন্ত্রপাতির অভাব আছে। উপজেলা হাসপাতাল বা জেলা হাসপাতালে সমস্যা রয়ে গেছে। এটা আছে তো ওটা নেই, ওটা আছে তো এটা নেই। ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। কিন্তু সেখানেও প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসক নেই। ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিপূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু চিকিৎসা সেবাটা সবকিছুর সমন্বয়ে হয়ে থাকে। এখানে চিকিৎসক, টেকনোলজিস্ট বা চিকিৎসা উপকরণের মধ্যে কোনো একটি না থাকলে পুরো চিকিৎসা সেবাটাই অসম্ভব হয়ে ওঠে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, চমেক হাসপাতাল ২২০০ শয্যার। কিন্তু রোগী থাকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী ধারণ করায় একটু সমস্যা হয়। এখানে বাড়তি পয়সা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে। তবে পরিদর্শন করতে করতে চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হল এখানে সরকারেরও যথেষ্ট দায়বদ্ধতা আছে। এখানে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর আউটসোর্সিং কর্মীর গত তিন তিন-চার মাস বেতন নেই। বেশ কিছু সমস্যার কারণে এখনো তাদের বেতনভাতার বিষয়টি পাশ হয়নি। সেটি পাশ হলেই সরকারিভাবে তাদের জন্য পুনরায় বেতন-ভাতা বরাদ্দ হবে।
আরও পড়ুন