Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক না লিখলে রোগী অসন্তোষ প্রকাশ করে

Main Image

রাজধানী মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জাতীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ সার্ভেইলেন্স বিষয়ক অনুষ্ঠানে অতিথিরা


আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব বলেছেন, চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক না লিখলে রোগী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়নি, মানে তাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাঁর মতে, প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক লেখা একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে।

বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানী মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জাতীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ সার্ভেইলেন্স বিষয়ক অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা বলেন অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব। 

ফার্মেসিগুলোতে অবারিত অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ফার্মেসিগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। একইসাথে ফার্মেসিগুলোর নিবন্ধন অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে আনতে বলেন তিনি। 

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া বলেন, দেশে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। একইসাথে মানুষের মাঝে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে উঠেছে। 

তিনি বলেন, খামারের পশু-পাখিকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়ে থাকে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক হয়ে উঠা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। এটি একটি নীরব ঘাতক। এই সমস্যা থেকে উত্তরণে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের জন্য সবাইকে নিয়ম মানার পরামর্শ দেন তিনি। 

তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিলমার্স, আইইডিসিআর, সিডিসিসহ ল্যাবগুলোকে আরও সক্ষম করে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন