Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


অক্সফোর্ডের সহযোগিতায় রিসার্চ ইনোভেনশন সেন্টার হবে বিএসএমএমইউয়ে

Main Image

ফিজিওলজি বিভাগ আয়োজিত ‘শরীরের নিম্নাংশের চর্বি কেন ডায়বেটিস ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে?’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ


যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ‘রিসার্চ ইনোভেনশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ফিজিওলজি বিভাগ আয়োজিত ‘শরীরের নিম্নাংশের চর্বি কেন ডায়বেটিস ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে?’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুইডেনের উপসালার এনকোপিং হাসপাতালের ডায়বেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেফতুন আহমেদ খন্দকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউর ফিজিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাসকিনা আলী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড্রোক্রাইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ হাসনাত।

সেমিনারে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রত্যেক গবেষণার উদ্দেশ্য রোগ প্রতিরোধ করা। গবেষণার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, তা যেন জনসম্পৃক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে বেশ কিছু গবেষণা কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। আমরা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফাস্ট ফুডের ওপর গবেষণা করেছি। গবেষণার পর বলতে পারি, যেসব খাবারের স্বাদ যত বেশি, সেসব খাবারের অধিকাংশই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

উপাচার্য বলেন, যারা ফ্যাকাল্টি আছেন তারা গবেষণা করবেন। যারা গবেষণা করছেন, তাদের গাইড দেবেন। আমরা কোভিডের সময় অনেক গবেষণা করেছি। সারা বিশ্বেও হাজার গবেষণা হয়েছে। আমাদের গবেষণার ফল অনেক রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় কাজেও লেগেছে। কিছুদিন আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল। সেসব নিয়েও আমাদের গবেষণা চলছে। আমরা এমনভাবে গবেষণা করব, যাতে আগাম রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জানতে পারি। আর এসব গবেষণার কাজে তরুণদের অনুপ্রেরণা দেব। কারণ তরুণ গবেষকদের হাতেই আমরা নিরাপদ থাকতে চাই। তরুণ নবীন রেসিডেন্টদের গবেষণার হাত ধরেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা শিগগির অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গবেষণার কাজ শুরু করব। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিসার্চ ইনোভেনশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

উপাচার্য জানান, এ সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সবার মনে রাখা দরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের গবেষণা করার সক্ষমতা রয়েছে। তারা চাইলেই গবেষণা করতে পারেন। তবে তাদের গবেষণার কাজে আগ্রহী করতে হবে। গবেষণা করার পদ্ধতি শেখাতে হবে।

সেমিনারে বলা হয়, দেহের নিতম্ব অংশের চর্বিকোষ পেটের চর্বিকোষ থেকে আলাদা। টাইপ-২ ডায়বেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি পেটের চর্বিকোষ বাড়ায়, কিন্তু নিতম্বের চর্বিকোষ ঝুঁকি কমায়।

আরও পড়ুন