বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের আর্থ্রাইটিস বা বাত–ব্যথায় ভুগে থাকেন
আজ ১২ অক্টোবর, বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ্রাইটিস ডে’ দিবসটি ‘আর্থ্রাইটিস অ্যান্ড রিউমেটিজম ইন্টারন্যাশনাল’ এর তত্ত্বাবধানে উদযাপিত হয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, রিউমাটয়েট আর্থ্রাইটিস, স্পনডাইলো আর্থ্রাইটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিসসহ ১২০টি বড় ধরনের রোগসহ প্রায় সাতশ রোগের সমন্বয় হলো আর্থ্রাইটিস।
তথ্যমতে, বাংলাদেশের ২৬ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো ধরনের আর্থ্রাইটিস বা বাত–ব্যথায় ভুগে থাকেন। এর মধ্যে ২৪ শতাংশের কর্মক্ষমতা কম। আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা থাকে এবং এ ব্যথা ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। হাত–পায়ের ছোট ছোট জোড়া বেশি আক্রান্ত হয়। প্রায়ই সমানভাবে দুই পাশের অর্থাৎ ডান ও বাম দিকের জোড়াগুলোতে ব্যথা হয়। অনেক সময় ঘাড়েও ব্যথা হতে পারে। এ রোগের ব্যথা কাজ করলে কমে, বিশ্রাম নিলে বেড়ে যায়। চট্টগ্রামেও আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
আর্থ্রাইটিস সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো টেনিস এলবো ও কনুই সমস্যা। জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ব্যথার মূল কারণ এর প্রদাহ। সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিশ্বব্যাপী আর্থ্রাইটিস আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। টেনিস এলবো একটি ইনজুরি জাতীয় সমস্যা। টেনিস খেলোয়াড়দের এ সমস্যা বেশি দেখা দেয় বলে একে টেনিস এলবো বলা হয়। ক্রিকেট, গলফ, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল ও তীর নিক্ষেপ ইত্যাদি খেলায় ভুল টেকনিকের কারণে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সমস্যার শুরুতে হাতের কনুইয়ের বাইরের দিকে ব্যথা অনুভূত হয়। হাতের নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা তীব্র হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলতে থাকলে মাংশপেশির শক্তি ও হাতের কর্মদক্ষতা কমে আসে।
আরও পড়ুন