Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


স্যালাইনের আর কোন সংকট হবে না: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

Main Image

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন


ডেঙ্গুরোগীদের স্যালাইন নিয়ে আর কোন সংকটের মুখোমুখি হতে হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিনি এ আশ্বাস দেন। 

ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় আইভি ফ্লুইড স্যালাইন। এ স্যালাইন নিয়ে সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। জরুরিভাবে ভারত থেকে তিন লাখ প্যাকেট স্যালাইন আমদানি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৪ হাজার প্যাকেট হাতে পেয়েছি। এগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সারাদেশে পাঠায়ে দেয়া হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বা ইডিসিএলের মাধ্যমে স্যালাইনের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এই ৩ লাখের বাইরে আরও কিছু স্যালাইন আমদানির প্রক্রিয়া চলছে এবং সেগুলো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। 

তিনি বলেন, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা গেছে- জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে। এরমধ্যে জুলাইয়ে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, মারা যান ২০৪ জন; আগস্টে শনাক্ত ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মারা যান ৩৪২ জন এবং সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ পর্যন্ত শনাক্ত ৬০ হাজার ৯০৯ জন, মারা গেছেন ৩০০ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২০-৫০ বছর বয়সীদের সংখ্যাই বেশি। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৮ শতাংশের কাছাকাছি। অবশ্য শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে ভয় না পাওয়ার পরামর্শ তাঁর। 

ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, এ বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। সে বছর মোট শনাক্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। কিন্তু এ বছর শেষ হওয়ার আগেই শনাক্তের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী সবচেয়ে বেশি। ঢাকা সিটির বাইরে সারাদেশে আমাদের আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী এসব জেলায় রোগী বেশি। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় বেশি আক্রান্ত পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, দেশের সব জেলা-উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে একই প্রটোকল ও গাইডলাইন অনুসরণ করে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সব চিকিৎসককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

আরও পড়ুন