Ad
Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫


ওষুধের কাঁচামালে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার তাগিদ

Main Image

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কোস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনার


ওষুধের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালে রাখতে এর কাঁচামালে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস চুক্তি অনুযায়ী- প্যাটেন্টকৃত ওষুধ তৈরিতে প্যাটেন্টকারীকে বিশেষ ফি দিতে হয়। তবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্যাটেন্ট ফি ছাড়াই ওষুধ তৈরি করতে পারবে বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো। এরপর প্যাটেন্ট ফি যোগ হলে ওষুধের দাম অনেক বেড়ে যাবে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওষুধ তৈরির কাঁচামালে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পরামর্শ তাদের। 

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কোস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত সেমিনারে তারা এ তাগিদ দেন। থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।

সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মজিবুল হক মনির। বক্তব্য দেন ভারতের ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাবেক অধ্যাপক ড. সুদিপ চৌধুরী, ন্যাশনাল কমিটি অন হেলথ মুভমেন্টের সভাপতি ডা. রশীদ ই মাহবুব, উবিনিগের ফরিদা আক্তার, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের শরীফ জামিল, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের রানজা সেনগুপ্তা ও প্রতিভা সিভাসুভ্রামানিয়ান।


মজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওষুধ সহজলভ্য করতে হবে। কারণ দেশে মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় মোট খরচের ৪৪ শতাংশ ব্যয় হয় ওষুধের জন্য। দেশে সবার জন্য ওষুধ নিশ্চিত করতে তিনি কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হলো- কাঁচামালে আত্মনির্ভরশীল হওয়া, ওষুধ শিল্পে গবেষণা ও উন্নয়নে গুরুত্বারোপ, স্বাস্থ্য খাত দুর্নীতিমুক্ত করা এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমা। 


ড. সুদীপ চৌধুরী বলেন, দেশের ভেতরেই ওষুধের কাঁচামালের বাজার তৈরি করতে হবে, এর জন্য সরকারের নীতিসহায়তা দরকার বলে জানান তিনি। 

প্রতিভা সিভাসুভ্রানিয়ান বলেন, বাংলাদেশের প্যাটেন্ট আইন ২০২২-এ কিছু সংশোধনী আনা খুব দরকার। দেশের প্রয়োজনে প্যাটেন্ট করা ওষুধ তৈরির জন্য দেশীয় কোম্পানিকে প্যাটেন্ট অধিকার ভাঙার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান তিনি।  

ডা. রশীদ ই মাহবুব বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সমস্যা সমাধান করে সবার জন্য ওষুধ সহজলভ্য করা যাবে।


ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওষুধ কোম্পানিগুলোর মধ্যে যৌথ গবেষণার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এর জন্য সরকারের নীতিগত এবং আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। তাছাড়া ভবিষ্যতে বদলে যাওয়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকে তৈরি করতে হবে দক্ষ জনবল। পুরো স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন